গত চার মাসে ভারতের তিনটি রাজ্যে প্রায় ৯ হাজার বাংলাভাষীকে আটক করে অস্থায়ী বন্দিশালায় রাখা হয়েছে, এবং অন্তত দুই হাজারকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে। ঘটনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মানুষজন বাংলায় কথা বলতেও ভয় পাচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এটি মূলত মুসলিমদের উপর ভয় ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। অভিযানে আটক হওয়া বেশির ভাগ ব্যক্তির কখনও পাকিস্তানে যাওয়া হয়নি।
গুরুগ্রামের পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, জুলাই থেকে অবৈধ অভিবাসী খুঁজতে শহরে অভিযান চলছে। এসময় ২০০-২৫০ জনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে ১০ জনকে অবৈধ বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে শহর ছেড়ে পালানোর সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি। অনেকের বৈধ নাগরিকত্ব থাকলেও তারা পুলিশি হয়রানির ভয়ে পালিয়েছেন।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুজরাটে অন্তত ৬,৫০০, কাশ্মীরে ২,০০০ এবং রাজস্থানে প্রায় ২৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজস্থানে তিনটি নতুন অস্থায়ী বন্দিশালা তৈরি হয়েছে। ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে বহিষ্কৃত মানুষের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত নয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, অভিযানের লক্ষ্য দরিদ্র মুসলিম শ্রমিক। পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য রাজ্য থেকে বহু শ্রমিক পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও আটক হয়েছেন। বিজেপি নেতারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের কেন্দ্র’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন, যা দেশের ধর্ম-ভাষা-জাতি পরিচয়কে হুমকির মুখে ফেলছে।