আবারো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলেও শুল্ক জটিলতায় খালাস করতে পারছেন না বন্দরের আমদানিকারকরা। শুল্ক কমানো দাবী বন্দর ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা বলেন, খাদ্যমন্ত্রলয় থেকে চালের অনুমতি পাওয়ার পর ভারত থেকে চাল আমদানি করেন আমদানিকারকরা । এদিকে সার্ভারে ৬৩ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ থাকায় ৩ দিন পার হলেও বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় পড়ে আছে প্রায় ২ হাজার ৭১৯ মেট্রিকটন চাল। এছাড়াও বাংলাদেশে চাল আমদানির অপেক্ষায় ভারতে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ টি চাল বোঝায় ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে পাইপ লাইনে।
আমদানিকারকরা বলেন, যদি ৬৩ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল ছাড় করা হয়। তবে শুল্ক পরিবহন অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজির চালের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৯০ টাকা। গত বছরের ২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল খালাস করা হয়েছিলো। এই বছরেও চাল আমদানির উপরে ২ শতাংশ শুল্ক করা হলে চালগুলো ছাড়করণ করতে পারবো।
হিলি শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও তা এখনও কেউ ছাড়করণ করেনি। যদি কেউ ছাড়করণ করতে চায় তাহলে ৬৩ পয়েন্ট ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ছাড়করণ করতে পারবেন।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে চাল আমদানি শুরু হয়। পরে বন্ধ হয়ে যায় ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিলে। গত ১২ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত এই বন্দও দিয়ে প্রায় ২ হাজার ৭১৯ মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়।