যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার পর এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার (১১ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এ ঘোষণা দেন। খবর বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ জানান, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচনার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙতে এবং গাজায় সংঘাত, দুর্ভোগ ও দুর্ভিক্ষের অবসান ঘটাতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানই মানবতার সেরা প্রত্যাশা।’
অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে যে ভবিষ্যতের কোনও রাষ্ট্রে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কোনও ভূমিকা থাকবে না। গত দুই সপ্তাহ ধরে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি।
এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর এই অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল বলেছে— ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়, যাতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়। এর পরদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনারা। প্রায় দুই বছরের এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং দেড় লাখেরও বেশি আহত হয়েছেন।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি উপত্যকায় আগ্রাসনের জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে।