বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এনআইডি-ভিত্তিক সিম ব্যবস্থাপনায় কঠোরতা আনছে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহারের সীমা কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে।
বিটিআরসি জানায়, যেসব গ্রাহকের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, সেগুলো ডি-রেজিস্ট্রেশন বা বাতিলের নির্দেশনা ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে (৩০ জুলাই)। বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।
নতুন সীমা নির্ধারণের ফলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নামে পাঁচটির কম সিম রয়েছে, আর মাত্র ৩.৪৫ শতাংশ গ্রাহকের নামে রয়েছে ১১টির বেশি সিম।
সিম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, অপব্যবহার রোধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন, যা এখন কমিয়ে আনা হলো ১০টিতে।
গ্রাহকদের *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করে নিজের এনআইডিতে কতটি সিম নিবন্ধিত আছে তা জানার পরামর্শ দিয়েছে বিটিআরসি। অতিরিক্ত সিম অন্যের নামে ‘ট্রান্সফার অব ওনারশিপ’ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করাও সম্ভব।
নিয়ম বাস্তবায়নে মোবাইল অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—প্রতি গ্রাহককে সপ্তাহে অন্তত একটি এসএমএস পাঠিয়ে নিয়মিত সচেতনতা বাড়াতে হবে।
বিটিআরসি আশা করছে, এই পদক্ষেপ সিম ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এবং দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা কাঠামো আরও শক্তিশালী করবে।