উত্তরা বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মাসিক বৈঠকে নেতারা বলেন, “এ দুর্ঘটনায় যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হবার নয়।” আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনার পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন এবং বলেন, “হতাহতদের তালিকা প্রকাশে দেরি জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।”
বৈঠকে আরও বলা হয়, ঢাকার মতো জনবহুল নগরীতে বিমান প্রশিক্ষণসহ ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো কর্মকাণ্ডের অনুমোদন বাতিল করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আমলে বিমান বাহিনীতে যুদ্ধবিমান ক্রয়ে দুর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন তারা। একইসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলা ও উত্তরা বিমান দুর্ঘটনা পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন, “প্রশাসনের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে।” এইচএসসি পরীক্ষার স্থগিতাদেশ মধ্যরাতে নয়, সন্ধ্যায়ই দেওয়া যেত বলে দাবি করেন তারা।
সভায় অবিলম্বে “জুলাই সনদ” ঘোষণা এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ এবং পরিচালনা করেন মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।