রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশিক্ষণ বিমানের বিধ্বস্ত ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ আহতদের জন্য দেশের বৃহত্তম বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্তের তীব্র সংকট চলছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে প্রায় দুই শতাধিক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে হাজির হন। মগবাজার, বনানী, উত্তরা, বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা তারা এই মানবিক উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন মগবাজারের হায়দার ও উত্তরা এয়ারপোর্ট এলাকার পিংকি শিকদার।
তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি আঁচল বলেন, “এখানে যারা ভর্তি, তারা আমার ভাই-বোনের মতো। আমি এ দেশের মানুষ; তাই সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। মানবিকতা কোনো পরিচয়ে বাধা দেয় না।”
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের স্বেচ্ছাসেবক মাহফুজুর রহমান ফাহাদ জানান, দগ্ধ রোগীদের প্রতি ২৪ ঘণ্টা পরপর রক্তের প্রয়োজন হয়। ইতোমধ্যে দেশের নানা প্রান্ত থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা রক্তদানের জন্য নিবন্ধন করেছেন এবং আজ যারা এসেছেন তাদেরও তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত ১৬৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪৬ জন ভর্তি, যেখানে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের দ্রুত সেবায় রক্তদান কার্যক্রম অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।
এই মানবিক উদ্যোগ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সহমর্মিতা ও সমাজে তাদের অবদানকে আরও শক্তিশালী করে তুলে ধরেছে।