আগামী ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশকে “জাতীয় রাজনীতির গতিপথ ও জনগণের ভাগ্য নির্ধারণী সমাবেশ” হিসেবে আখ্যা দিয়ে যুব সমাজকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের।
সোমবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের যুব বিভাগ আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক সমাবেশ জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই যুব সমাজকে ঘরে বসে না থেকে ময়দানে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ৭ দফা দাবির ভিত্তিতে আয়োজিত এ সমাবেশ গণতন্ত্র, সুশাসন ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করবে। পাশাপাশি ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ ও শহীদদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত হবে।
মাদকের করাল গ্রাসে যুব সমাজের অবক্ষয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সুশাসনের অভাবেই আজ যুব সমাজ বিপথগামী। জামায়াত মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য যুবকদেরই অগ্রণী হতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুব বিভাগের সভাপতি ডা. মঈন উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি হাসানুল বান্না চপল। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও মহানগরী উত্তর আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, “ঢাকার অলিগলিতে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বাড়ছে। এসব প্রতিরোধে যুব সমাজকে সংগঠিত হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মাওলানা ইয়াছিন আরাফাতসহ মহানগরী যুব বিভাগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশের মাধ্যমে যুব সমাজকে সংগঠিত করে জাতীয় পুনর্গঠনে নেতৃত্বদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা।