ভারত আর চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার প্রক্রিয়া চলতে থাকলে তা দুই দেশেরই পারস্পরিক উপকার হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
মি. জয়শঙ্কর সোমবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই চীনের উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে মি. জয়শঙ্কর চীনে গেছেন। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে গত পাঁচ বছরে এই প্রথমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সোমবারের বৈঠকের শুরুতেই মি. জয়শঙ্কর বলেন, “গত বছর অক্টোবের কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং- এর বৈঠকের পর থেকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে এই সফরকালে আমার বৈঠকগুলি সেই ইতিবাচক ধারা বজায় রাখবে।“
দুই দেশের মধ্যে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’ বা লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের ওপরে লাদাখ অঞ্চলে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকা সামরিক উত্তেজনা প্রশমন করতে ভারত আর চীন গত অক্টোবর মাসে একটি সমঝোতায় আসে। তার ঠিক দুদিন পরেই মি. মোদী ও মি. শি জিনপিং বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, দীর্ঘমেয়াদী সীমান্ত সমস্যা সমাধানে ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে বেশ কিছু পদ্ধতি আবারও চালু করবে দুই দেশ।
সোমবারের বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন, দুই প্রতিবেশী দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫ বছর পূর্ণ করছে এবছরই।
এরকম একটা বছরেই হিন্দুদের কাছে অতি পবিত্র কৈলাশ মানসরোবর যাত্রাও পুনরায় চালু করা হচ্ছে পাঁচ বছর বাদে।
মি. জয়শঙ্কর বলেছেন, “কৈলাশ-মানসরোবর যাত্রা আবারও শুরু করার সিদ্ধান্ত ভারতে যথেষ্ট সমাদৃত হচ্ছে।।”