গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক এলাকায় হামলা চালায়। প্রাণ হারান উচ্চপদস্থ সেনা কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিকরা। এই অভূতপূর্ব আগ্রাসনের পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ি দ্রুত সেনা পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দেন এবং বিকল্প কমান্ড ব্যবস্থায় কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
ইরানি বাহিনী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা আঘাত হানে তেল আবিব ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায়। এই সামরিক দক্ষতা এসেছে পূর্ব প্রস্তুতি ও বিকেন্দ্রীকরণভিত্তিক কমান্ড ব্যবস্থার কারণে।
খামেনেয়ি তিনবার সরাসরি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন, যা বিরল কূটনৈতিক ও সামরিক বার্তা বহন করে। প্রথম ভাষণে তিনি ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে প্রতিরোধের ন্যায্যতা তুলে ধরেন। দ্বিতীয় ভাষণে জাতিকে ধৈর্য ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করেন, এবং তৃতীয় ভাষণে আত্মসমর্পণের কোনো সুযোগ নেই—এই মর্মে বিদেশি চাপকে প্রত্যাখ্যান করেন।
খামেনেয়ির নেতৃত্বে ইরান শুধু সামরিকভাবে নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও কৌশলগতভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছে। এই সংকট মুহূর্তে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনমত নিয়ন্ত্রণে তার সক্রিয় ও প্রত্যক্ষ ভূমিকা বিশ্বমঞ্চে এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।