বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসরদের গ্রেপ্তার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে প্রতীকী সমাবেশে যোগ বললেন, “আওয়ামী লীগের নিজেদের ভুলের কারণেই তাদের রাজনীতিতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। জনগণের বিরুদ্ধে যদি কোনো রাজনৈতিক দল অবস্থান নেয়, সেই দল অটোমেটিক বিলুপ্ত হয়ে যায়।”
আসাদুজ্জামান রিপন আরও যোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ভুল রাজনীতি করেছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, লুটপাট করেছে। জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না।
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমরা বিজয় লাভ করেছিলাম ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। যে আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল ১৭ বছর আগেই। এই বিজয়ের মধ্যে আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো ছিল মানুষ শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাবে। এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি যারা হবেন, তারা যেন নিজেদেরকে মোগল সম্রাট হিসেবে না ভাবেন- সেই ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সরকারি কর্মকর্তারা জবাবদিহিতার আওতায় আসবেন। সমস্ত কিছুর মধ্যে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে-উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছুদিন আগে একটা আন্দোলন হলো। সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারা বললেন, তাদেরকে নাকি চাকরি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। কেন যাবে না? তিনি ঘুষ খাবেন, দুর্নীতি করবেন, ১৪ হাজার টাকা বেতনের কর্মচারী ঢাকা শহরে দুইটা বাড়ি বানিয়ে ফেলবেন, বিদেশে ছেলে-মেয়েকে পড়াবেন। এই ঘটনায় একজন মন্ত্রী হলে বলে রাজনীতিবিদরা চোর। আপনি যে মহাচোর, সেই কথাটা আপনাকে বলা যাবে না কেন? এই যে আপনারা অনেকেই মহাচোর, এই ব্যবস্থাটিকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।
‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে এবং সরকার জবাবদিহিতার মধ্যে থাকবে। রাষ্ট্র যখন গণতান্ত্রিক হয়, সরকার তখন জবাবদিহি করতে বাধ্য হয়’-যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।