বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন

‘মার্কিন বাংকার বাস্টারের মতো’ অগ্নি-৫ বানাচ্ছে ভারত

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে বাংকার বাস্টার তৈরি করছে। অগ্নি-৫ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের দুটি ভার্সন তৈরি হচ্ছে। দেশটির ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এই অগ্নি-৫-এর নতুন সংস্করণ তৈরি করছে।অগ্নি-৫ মাটির ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীরে গিয়ে কংক্রিটের আস্তরণ ভেদ করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে।সাড়ে সাত হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করে নিয়ে যেতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।এই ক্ষেপণাস্ত্রের দুটি সংস্করণ থাকবে। একটি আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক নিয়ে বাংকার বাস্টারের কাজ করবে। এটা সুপারসনিক গতিতে যাবে।অন্যটি পাঁচ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারবে।

মার্কিন বাংকার বাস্টারের মতো
সম্প্রতি ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে বাংকার বাস্টার বোমা জিবিইউ ৫৭ ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ট্রাম্প দাবি করেছেন। ভারতের অগ্নি-৫-ও যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার জিবিইউ ৫৭-এর মতোই শক্তিশালী হবে বলে দাবি করা হয়েছে।বাংকার বাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র হলো এক বিশেষ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, যা মাটির গভীরে ঢুকে লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে এবং মিলিটারি বাংকার, কমান্ড সেন্টার, মিসাইল রাখার জায়গা ও অস্ত্রভাণ্ডারে গিয়ে আঘাত করতে পারে। সাধারণ যুদ্ধাস্ত্র বা বোমা মাটির ওপর গিয়ে পড়ে ও বিস্ফোররিত হয়। কিন্তু বাংকার বাস্টার মাটির ভেতর ঢুকে কংক্রিটে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।

কেন এই বাংকার বাস্টার জরুরি
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা একটা ডেটারেন্ট হিসেবে কাজ করবে। যেকোনো দেশের মাসল পাওয়ার বাড়ানোর দরকার হয়।কোনো সন্দেহ নেই, ভারতের সামরিক বাহিনীর কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।’তিনি আরো জানান, ‘এই অস্ত্র মাটির গভীরে চলে যেতে পারে। কয়েকটা পর্যায়ে এর ডেটোনেশন হয়। প্রথমে ওপরে হয়, তারপর ভেতরে ঢুকে বারবার তা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এটা নির্দিষ্ট একটি কোণে রাখতে পারলে টার্গেটে সবচেয়ে ভয়ংকর আঘাত করতে পারে। তাই এই অ্যাঙ্গেল বা কোণটা খুবই জরুরি।’

সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন মার্কিন বাংকার বাস্টার দেখার পর ভারতের এই প্রয়াস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে ভারত আগেই এই অস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’

আধুনিক যুদ্ধে এই বাংকার বাস্টার খুব জরুরি বলে মনে করা হয়। কারণ অন্য দেশের কমান্ড ও কন্ট্রোল কেন্দ্রগুলো এখন মাটির নিচে থাকে। অস্ত্র, জ্বালানি, রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্রও মাটির তলায় রাখা হয়। সেগুলোতে আঘাত করতে চাইলে বাংকার বাস্টার দরকার হয়। সেখানেই এর গুরুত্ব।

প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত রায় চৌধুরী বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীন মাটির নিচে বাংকার, মিসাইল রাখার জায়গা, কমান্ড পোস্ট তৈরিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তাই মাটির তলার পরিকাঠামো ভাঙতে গেলে ভারতের হাতেও অস্ত্র থাকা দরকার। চীনের হাতেও বাংকার বাস্টার ডিএফ ১৫ আছে, এই ধরনের অস্ত্র হাতে থাকলে অন্য দেশও ভারতকে আক্রমণ করার আগে দুইবার ভাববে।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102