কুমিল্লার মুরাদনগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে (৩৬) আজ ভোর ৫টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ধারণ ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় আরও চারজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ওই নারী প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাবার বাড়ির পাশে পূজা হচ্ছিল। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়েছিলেন; তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী ফজর আলী ঘরে ঢুকে ছুরি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি ফাঁস করলে হত্যার হুমকি দেয়।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে ফজর আলীকে মারধর করলেও তিনি পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু ব্যক্তি ওই নারীর ভিডিও ধারণ করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন—ফজর আলী (৩৬), সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ধারণ ও ছড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।