প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা নির্ধারণে শর্তসাপেক্ষে আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে বিএনপি। দলটি জানিয়েছে, ‘এক ব্যক্তি দুই মেয়াদ বা সর্বোচ্চ দশ বছর’ মেয়াদের সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি তারা। তবে, এক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে তারা ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীসহ সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য একটি নিরপেক্ষ নিয়োগ কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দেয়। তবে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা এটিতেও আপত্তি জানিয়েছে।
বিএনপি নেতাদের যুক্তি, এ ধরনের কাউন্সিল বা কমিটি গঠন করলে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে জটিলতা সৃষ্টি হবে।
বিএনপির এই অবস্থানে একমত জামায়াতে ইসলামী, জুলাই অভ্যুত্থান-উত্তর ছাত্রনেতৃত্বের দল এনিসিপি এবং আরও কয়েকটি ইসলামপন্থী দল। তারা বলছে, শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, বরং সুষ্ঠু ভারসাম্য রক্ষার জন্য নিয়োগ কাঠামোয় পরিবর্তন প্রয়োজন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বলছে, দলীয় মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও একটি গ্রহণযোগ্য সাংবিধানিক কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে সংলাপ অব্যাহত থাকবে।