পার্থিব অস্থিরতা ও শঙ্কা দূর করার অন্যতম উপায় হলো প্রতিটি বিষয়েই একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাওয়া, তাঁর ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখা। একজন প্রকৃত মুমিন আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে বারবার এই ঘোষণা দেন—‘আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং একমাত্র তোমারই সাহায্য চাই।’
(সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৫)
পার্থিব ভয় ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো আল্লাহ তাআলার অসীম দয়া ও উদারতা স্মরণ করা। তিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি সীমাহীন অনুগ্রহশীল। তিনি বান্দাদের ভুলত্রুটির উপযুক্ত শাস্তি দেন না—যদি দিতেন, তবে এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর চেয়ে কেউ বেশি ধৈর্যশীল নন, মানুষের পক্ষ থেকে তাঁকে অনেক কষ্ট দেওয়া হয়…, তবু তিনি তাদের সুস্থ রাখেন, রিজিক দেন।’
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০৯৯)
পার্থিব ভয় ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির নিরাপদ আশ্রয় হলো নামাজ। নামাজ মানেই আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের সেতুবন্ধ। নবীজি (সা.)যখনই কোনো কষ্ট, দুশ্চিন্তা বা বিপদের মুখোমুখি হতেন, তখনই তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ৪৫)
পার্থিব ভয় ও অস্থিরতা দূর করার এক গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো মনেপ্রাণে এই বিশ্বাস পোষণ করা যে মহান আল্লাহ কখনোই মুমিনকে তার কষ্ট ও দুর্দশার মধ্যে একা ফেলে দেন না। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর আমি আমার রাসুলরা এবং যারা ঈমান এনেছে তাদের রক্ষা করি। এভাবেই মুমিনদের রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ১০৩)
পার্থিব ভয় ও অস্থিরতা থেকে মুক্তির শক্তিশালী চেতনা হলো এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে পৃথিবীর কোনো কিছুই আল্লাহর ইচ্ছা ও অনুমতি ছাড়া আমাদের উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না।