লন্ডনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয় ব্যাপক আলোচনার। ১৩ জুন সকালে ডরচেস্টার হোটেলে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একটি সুস্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়—আগামী মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, বৈঠকে অংশগ্রহণের আগে তারেক রহমান বলেছিলেন, “দেশের জন্য যেকোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত”। যাত্রাপথে তার মনোভাব ছিল অত্যন্ত শান্ত ও আত্মনিবেদিত। বৈঠকের ফলাফল ইতিবাচক হওয়ায় ফেরার পথে ছিলেন আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী।
হুমায়ুন কবির আরও জানান, এই বৈঠকের মেসেজ স্পষ্ট—রমজানের আগেই নির্বাচন। এতে কোনো “যদি, কিন্তু” নেই। তিনি বলেন, “তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, ড. ইউনূসের মত একজন বিজ্ঞজনের অবদান নির্বাচন পর্যন্তই নয়, জাতীয় পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।”
বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংগঠন পরিচালনা ও নেতৃত্ব নিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, দীর্ঘ নির্বাসনেও তারেক রহমান দলের নিয়ন্ত্রণ ও ঐক্য ধরে রেখেছেন। “জুলাই-আগস্টের ফলাফল একদিনে আসেনি, এটি তার দীর্ঘদিনের কৌশলগত নেতৃত্বের ফসল,” — বলেন তিনি।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে হুমায়ুন কবির জানান, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরই তিনি দেশে ফিরবেন এবং ২০২৫ সালের মধ্যেই তাঁর প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত।