ইরানের পাল্টা বার্তার অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো সরাসরি লক্ষ্যবস্তু হলো ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলের শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে কেউ নিহত না হলেও একাধিক ল্যাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং বছরের পর বছরের বৈজ্ঞানিক গবেষণা ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিজ্ঞানীদের প্রতি এই হামলাকে বিশেষজ্ঞরা ইরানের ‘কৌশলগত বার্তা’ হিসেবে দেখছেন। এর আগে ইসরায়েল বছরের পর বছর ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালালেও এবার উল্টোভাবে ইরানি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন ইসরায়েলি বিজ্ঞানীরাই।
ইন্সটিটিউট সূত্র জানায়, হামলায় দুটি ভবন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার একটি জীবন বিজ্ঞান ল্যাব। জৈব রসায়ন, টিস্যু গবেষণা ও ক্যান্সার বিষয়ক বহু গবেষণা স্থগিত বা ধ্বংস হয়েছে। অনেক গবেষকের পুরো ল্যাব ধ্বংস হয়ে গেছে।
ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউটকে ইসরায়েলি ‘বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির প্রতীক’ হিসেবে দেখা হয়। এটি প্রতিরক্ষা খাতসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকে। এতে নোবেল ও টুরিং পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানীরা যুক্ত ছিলেন এবং এখানেই ১৯৫৪ সালে ইসরায়েলের প্রথম কম্পিউটার তৈরি হয়েছিল।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এই হামলা ইরানের কৌশলের নতুন দিক নির্দেশ করে বলেও মত দিয়েছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. ইয়োয়েল গুজানস্কি। তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের বিজ্ঞানীদের হত্যা করছেন, আমরাও আপনাদের বিজ্ঞান কাঠামো আঘাত করবো।”
ইরান-ইসরায়েল ছায়াযুদ্ধ নতুন মোড় নিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।