জেরুজালেম, ১৯ জুন ২০২৫ — ইরান থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আজ জেরুজালেমের আকাশসীমায় পৌঁছালে শহরজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশেই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, যতদিন প্রয়োজন, ততদিন তারা অভিযানে অটল থাকবে এবং নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাবে। দেশটির দাবি, প্রথম দিকের তুলনায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিমাণ কমে এসেছে।
তেল আবিবের এক সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইরানের পশ্চিম সীমান্তের একাধিক প্রদেশ — যেমন ইলাম, কুর্দিস্তান, পূর্ব ও পশ্চিম আজারবাইজান এবং কেরমানশাহ — থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সহজেই ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারে। তবে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল অভিযানে এসব এলাকার বেশিরভাগ উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি।
ইসরায়েল আরও দাবি করেছে, তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে ইরানের পক্ষে বড় আকারে হামলা চালানো এখন তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, ইরান জানিয়েছে, তারা এখনও সব অস্ত্র ব্যবহার করেনি। তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তাদের হাতে এমন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো সম্ভব।
বুধবার ইরান ঘোষণা করে, তারা নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের পথে এগিয়েছে, যা পূর্ববর্তী মডেলের তুলনায় অনেক দ্রুত ইসরায়েল পৌঁছাতে সক্ষম। তেহরান দাবি করে, এমন প্রযুক্তি বর্তমানে বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছেই রয়েছে।
এদিন তেল আবিবেও সাইরেন বেজে ওঠে, কিন্তু ইসরায়েল জানায় যে তাদের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সময়মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত করে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।