‘জোর করে, দখল করে, চাঁদাবাজি করে আমরা যেন কারো অধিকার হরণ না করি’ বলে নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার সকালে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর সানভিম স্কুল প্রাঙ্গনে দলীয় সদস্য নবায়ন কর্মসূচির ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা আইনের শাসন চেয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে তারা যেটা বলত সেটাই হয়ে যেত আইন। আমরা সেরকমটা বিশ্বাস করি না।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী সেখানে ন্যায় বিচার থাকবে, মানুষের মর্যাদা থাকবে-মূল্যবোধ থাকবে, একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে সম্মান করবে, সম্পত্তি ও জীবনের নিরাপত্তা থাকবে। আর আওয়ামী লীগ কি করেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় সব কিছু দখল করে ফেলেছিল।

ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা যদি আবার এটা হয়ে যাই তাহলে কিন্তু আমরাও আওয়ামী লীগ হয়ে গেলাম। এটা হওয়া যাবে না।

এ সময় ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগণের ভালোবাসা ছাড়া রাজনৈতিক সফলতা সম্ভব নয়। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চাই, যেখানে ভোটের অধিকার, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র থাকবে।

তিনি বলেন, লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক একটি দলের পছন্দ হয়নি। যে কারণে নারাজ হয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের বৈঠকে তারা হাজির হয়নি।

এ সময় তিনি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সংঘর্ষে না গিয়ে দুই নেতা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। একেই বলে রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতা। রাষ্ট্রনায়ক সব সময় জনগণের শান্তির কথা চিন্তা করে কোনো বিভাজনে না গিয়ে আমাদের একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছেন। এটা অনেকের পছন্দ হয়নি। কারণ নির্বাচন হলেই তাদের বিপদ।

বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম আরো বলেন,  নির্বাচন হলে জনগণের ভালোবাসার দল ক্ষমতায় এলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে, এটা তারা জানে। যে কারণে ওরা নারাজ হয়েছে। এজন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তারা হাজির হয়নি।

আয়োজনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এম কফিল উদ্দিন, তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হারুনর অর রশিদ খোকাসহ তুরাগ-উত্তরার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।