বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ন

রাত্রিকালীন কিছু কুসংস্কার

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
ইসলাম-পূর্ব আরবে অনেক ধরনের কুসংস্কার ও অহেতুক বিশ্বাস প্রচলিত ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরআন-সুন্নাহর শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ থেকে সব কুসংস্কার দূর করেন। আরবরা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে বের হওয়ার আগে পাখি ওড়াত, পাখিটি উড়ে ডান দিকে গেলে যাত্রা শুভ মনে করত, আর বাঁ দিকে গেলে অশুভ মনে করত। কারো বাড়িতে প্যাঁচা বসলে মনে করা হতো গৃহবাসীদের নিকটতম কারো মৃত্যু হবে অথবা ঘর বিরান হয়ে যাবে।নবী করিম (সা.) বলেন, ‘এসব কুলক্ষণের কোনো বাস্তবতা নেই।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৭০৭)

ইসলামী জ্ঞানের অভাবে আমাদের সমাজেও নানা কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। অনেক এলাকায়ই রাতকেন্দ্রিক কিছু অহেতুক বিশ্বাস প্রচলিত আছে। নিচে এর কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যেমন—

♦ রাতে নখ, চুল, দাড়ি, গোঁফ ইত্যাদি কাটতে নেই।

♦ ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেললে সংসারে অমঙ্গল হয়।

♦ রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।

♦ রাতে ফল পাড়া ও গাছের পাতা ছেঁড়া যাবে না।

♦ রাতে কোনো কিছুর লেনদেন করা ভালো নয়।

♦ রাতের বেলা কালিজিরার ভর্তা খেলে মায়ের জানাজা পায় না।

♦ খালি ঘরে সন্ধ্যাবাতি দিতে হয়, না হলে বিপদ আসে।

♦ রাতে কাক বা কুকুর ডাকলে বিপদ আসে।

এ ছাড়া এলাকাভেদে আরো অনেক কুসংস্কারের প্রচলন রয়েছে। এসব মনগড়া কথা; ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই। একজন মুসলমানের কাজ হলো সব ধরনের কুসংস্কার বাদ দিয়ে সব ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার ওপর দৃঢ় ঈমান ও সুদৃঢ় আস্থা রাখবে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মতের ৭০ হাজার লোক বিনা হিসাবেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারা হবে এমন লোক, যারা শরিয়তে নিষিদ্ধ ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নেয় না, কোনো বস্তুর শুভ-অশুভ মানে না। একমাত্র মহান আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে।’

(বুখারি, হাদিস : ৬৪৭২)

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102