ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ডাকসু নির্বাচন কমিশন ঘোষণার দিনই একাধিক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধারের ঘটনাকে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচাল করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৩টায় উপাচার্য চত্বরে চলমান অবস্থান কর্মসূচি থেকে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বীন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ডাকসু নির্বাচন কমিশন ঘোষণার জন্য সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে, ঠিক তখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি কুচক্রী মহল ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। মোতাহার হোসেন ভবনের নিচে ৬টি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া গেছে। মুজিব হল গেইটে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে স্পষ্ট যে কেউ চাইছে না শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব ফিরে পাক।
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, আজকের বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে তা স্পষ্ট। আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই মুজিব হল গেটের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই চক্র হঠাৎ এত সক্রিয় হলো কীভাবে? শাহবাগ থানায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছে, আমরা চাই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারাই জুলাইয়ে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। আজও আপনাদের দায়িত্ব ডাকসু রক্ষা করা। যারা ভাবছেন ডাকসু হলে কী, না হলে কী- তারা এখন বুঝতে পারছেন এর গুরুত্ব। ডাকসু মানে ছাত্রদের কণ্ঠস্বর, নিজস্ব নেতৃত্ব। চাইলে আপনিই প্রার্থী হোন, অন্যথায় পরাধীনতার রাজনীতির শিকার হবেন।