বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

জান্নাতের বিশালতা কল্পনাতীত

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫
আল্লাহ তাআলা তাঁর সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য জান্নাত তৈরি করেছেন। তাঁরা সেখানে অনন্তকাল অবস্থান করবেন। প্রথম নবী আদম (আ.) জান্নাত থেকে পৃথিবীতে এসেছেন। সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে স্বচক্ষে জান্নাত দর্শন করেছেন।জান্নাতের সত্যতা অস্বীকার করা কুফরি। কোরআন-হাদিসে জান্নাতের অপূর্ব নিয়ামতের অসংখ্য বর্ণনা আছে। তবে কোনো সাধারণ মানুষের জন্য দুনিয়ার জীবনে তা চোখে দেখা, কানে শোনা বা মনে কল্পনা করা সম্ভব নয়। এটি অকল্পনীয় এবং এর নিয়ামতগুলোও অকল্পনীয়।হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য তৈরি করেছি যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শ্রবণ করেনি এবং কোনো মানুষের অন্তর তার কল্পনা করেনি।’(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২৪৪)তাই জান্নাতের বিশালতা নিরূপণ করাও মানুষের সাধ্যের বাইরে। তবে সবচেয়ে নিচু স্তরের জান্নাতও দুনিয়ার চেয়ে বহু গুণে বড় হবে, তা হাদিস দ্বারা বোঝা যায়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি অবশ্যই চিনি জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভকারী সর্বশেষ জাহান্নামি এবং জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ জান্নাতিকে; জনৈক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম থেকে বের হবে, আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ করো।সে জান্নাতে আসবে, তাকে ধারণা দেওয়া হবে জান্নাত পূর্ণ। সে ফিরে এসে বলবে, হে আমার রব, আমি তা পূর্ণ পেয়েছি। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ করো। তিনি বলেন, সে জান্নাতে আসবে, তাকে ধারণা দেওয়া হবে জান্নাত পূর্ণ। সে ফিরে এসে বলবে, হে আমার রব, আমি তা পূর্ণ পেয়েছি।অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ করো। তোমার জন্য দুনিয়ার সমান ও তার ১০ গুণ জান্নাত রয়েছে অথবা তোমার জন্য দুনিয়ার ১০ গুণ জান্নাত রয়েছে—তিনি বলেন; সে বলবে, হে আমার রব, আপনি আমাকে নিয়ে উপহাস করছেন বা হাসছেন অথচ আপনি বাদশাহ? বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দেখেছি হাসতে, তার মাড়ির দাঁত পর্যন্ত বের হয়েছিল। তিনি বলেন, তখন বলা হতো, এ হচ্ছে মর্যাদার বিবেচনায় সবচেয়ে নিম্ন জান্নাত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৬)অন্য হাদিসে শুধু মুজাহিদদের জান্নাতের স্তরের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘জান্নাতের ১০০টি (মর্যাদার) স্তর রয়েছে। এগুলো আল্লাহ তাঁর রাস্তায় জিহাদকারীদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন। প্রতি দুটি স্তরের মাঝে আসমান ও জমিনের দূরত্ব বিদ্যমান।’ (বুখারি, হাদিস : ৭৪২৩)সুবহানাল্লাহ, এসব হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, জান্নাতের বিশালতা নিরূপণ করা সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ কল্পনার চেয়ে সুন্দর, আরামদায়ক ও বিশাল জান্নাত সাজিয়ে রেখেছেন তাঁর সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102