ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়ের মধ্যে আজ শনিবার রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় সেনাবাহিনী ভাড়া নিয়ন্ত্রণে তিন ঘণ্টাব্যাপী একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে ১৫টি বাসে ভাড়ার অনিয়ম ধরা পড়ে, যেখান থেকে অতিরিক্ত নেওয়া ভাড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বিকাল তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত চলা অভিযানে সেনাবাহিনী বিভিন্ন বাস থামিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, একাধিক বাস অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে হেলপার ও সুপারভাইজারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারায় সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা যাত্রীদের ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়।
উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রী আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে ঢাকায় এসে এমন উদ্যোগ দেখে স্বস্তি পেয়েছি। আশা করি সেনাবাহিনীর এই অভিযান নিয়মিত হবে। তাহলে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিতে সাহস করবে না।’
একইভাবে আরেক যাত্রী আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমরা জানি যে বাসগুলো বেশি ভাড়া নিচ্ছে। কিন্তু কিছু বলার উপায় ছিল না। আজ সেনাবাহিনী এসে আমাদের অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা সন্তুষ্ট।’
ভাড়া অনিয়মের বিষয়ে অধিকাংশ বাসকর্মী নির্দিষ্ট কোনো তালিকা দেখাতে পারেননি। কেউ কেউ দাবি করেন, মালিক পক্ষের নির্দেশেই বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী তাদের জিজ্ঞেস করে জানতে চায়, কেন বাসে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টাঙানো হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাসকর্মীরা নিজেদের ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
উত্তরা আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন সাবিত বিন শাহিন বলেন, ‘আমরা আজ তিন ঘণ্টা এই অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে ১৫টি বাস চেক করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার দায়ে কয়েকটি বাসকে মোট ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের সক্ষমতার মধ্যে থেকে এ ধরনের অভিযান সামনে আরও চালিয়ে যাব।’
স্থানীয় যাত্রীরা বলছেন, যেখানে সেনাবাহিনীর নজরদারি রয়েছে, সেখানে সাধারণত ভাড়া সিন্ডিকেট সক্রিয় হতে পারে না। কিন্তু অন্যান্য এলাকায় এখনো অনিয়ন্ত্রিত ভাড়া আদায় অব্যাহত রয়েছে।