সাম্প্রতিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা সংশোধন করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের স্বাক্ষরে মঙ্গলবার (৩রা জুন,২০২৫) রাতে জারিকৃত ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’-এ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংশোধিত সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) এবং তার স্বীকৃত বাহিনীর সদস্যরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য হবেন। অন্যদিকে, মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী, দূত, এবং নিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সদের ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
অধ্যাদেশ জারির পর কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ প্রায় ৪০০ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়েছে। তবে সরকার এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন সংজ্ঞায় কারো স্বীকৃতি বাতিল করা হয়নি; বরং সুনির্দিষ্টভাবে বিভিন্ন ভূমিকার ভিত্তিতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে।
নতুন এই সংজ্ঞা ঘিরে দেশের রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হলেও সরকার বলছে, এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরও স্পষ্ট ও শ্রদ্ধার সঙ্গে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।