গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন তাদের দ্বিতীয় ইন্টারিম প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। বুধবার (৪ঠা জুন,২০২৫) সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে সদস্যরা এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত কমিশনের কাছে ১,৮৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১,৩৫০টি যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযোগের সংখ্যা ৩,৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তিন শতাধিক ব্যক্তি।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গুমের ঘটনা অত্যন্ত ভয়াবহ। এসব ঘটনার নির্মমতা তুলে ধরতে একটি ‘হরর মিউজিয়াম’ হওয়া উচিত।” তিনি প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন এবং আশু করণীয়গুলো নির্দিষ্ট করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কমিশনের একজন সদস্য জানান, ঘটনার ভয়াবহতায় অনেকে আত্মগ্লানিতে ভুগছেন, এমনকি দুইজন কর্মকর্তা আত্মশুদ্ধির অংশ হিসেবে চিঠি দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তৎকালীন সেনাপ্রধান এ বিষয়ে প্রকাশ্য স্বীকৃতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের ব্যাংক লেনদেনের সক্ষমতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন এবং ‘সাত বছর পর নিখোঁজকে মৃত ঘোষণা’ আইনি শর্ত পাঁচ বছরে নামিয়ে আনার সুপারিশ গ্রহণ করেন।
কমিশনের সাহসী কাজের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন, দেশের মানুষের কাছে আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।”