রাজধানীর উত্তরাতে রানাভোলা এভিনিউ বনায়ন কমিটির উদ্দ্যোগে এক পরামর্শসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৩০শে মে,২০২৫) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ১০নং সেক্টরের রানাভোলা অ্যাভিনিউর সী-শেল রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রানাভোলা অ্যাভিনিউ ও আশাপাশের জায়গায় বনায়নের ওপর ১০ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ ও আজীবন সদস্যগণ মতামত প্রকাশ করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব মোতাহের হোসেনের সভাপতিত্ব পরামর্শসভায় বক্তব্য রাখেন, কর্নেল (অব.) ফারুক, জনাব নাজমুল আহসান, জনাব ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান, জনাব ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দীন ফকির, জনাব ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, জনাব ইঞ্জিনিয়ার এটিএম শামসুদ্দীন, জনাব আরিফ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এরশাদ, জনাব ফেরদৌস আহমেদ, জনাব আলতাফ হোসেন লোটাস, জনাব কে এম হাবিবুল হাসান, জনাব ড. দিলরুবা খান, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সেক্টরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছর জুন মাসে গাছের চারা রোপণ করা হয়। কিন্তু যথাযথ পরিচর্যার অভাবে চারাগুলো নষ্ট হয়ে যেত। এছাড়াও সেক্টরে অপরিকল্পিত ও অস্থায়ী দোকানপাট নিজেদের সুবিধার্থে এসব চারা নষ্ট করে ফেলতো। তবে এবছর বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদকৃত স্থান ঘিরে বনায়ন গড়ে উঠেছে। সেই বনায়নকে কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় সেই বিষয়ে উপস্থিত আলোচকরা আলোচনা করেন।
এই এভিনিউতে কৃষ্ণচূড়া এবং নিমগাছকে প্রাধান্য দিয়ে বনায়ন গড়ে উঠছে। উপস্থিত বক্তারা দৃঢ় আশাবাদী হয়ে বলেন, ভবিষ্যতে কৃষ্ণচূড়া এভিনিউ নামে পরিচিতি লাভ করতে পারে। দূর-দূরান্ত থেকে এখানে মানুষ আসবে শুধু ছবি তোলার জন্য।
এই বনায়নকে আরও শোভাময় করতে ২০ গজ দূরত্বে কদম গাছ লাগানো, স্বর্নালু গাছ লাগানো, বকুল গাছ লাগানো এবং বর্ষায় মাটির ক্ষয়রোধে দুর্বাঘাস লাগানোর পরামর্শও দেন বক্তারা। এছাড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে দুজন দক্ষ মালি এবং ছয়জন নিরাপত্তাকর্মী সবসময় এই অ্যাভিনিউতে নিয়োজিত করার অনুরোধ করা হয়।
বনায়নের পাশাপাশি সেক্টরবাসী এলাকার বিভিন্ন সমস্যা আলোচনায় তুলে ধরা হয়। বিশেষত রানাভোলা অ্যাভিনিউর ভার্সিটি গেইটে বেরিয়ার দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অনুরোধ করেন একাধিক বক্তা। ৭ নং ও ১২ নং সড়কের চৌরাস্তা পয়েন্টে প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এই যানজট নিয়ন্ত্রণে আশু পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। উদ্যোক্তাগণ জানান, ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রজেক্ট অফিসের জায়গায় ভবিষ্যতে পার্ক এবং খেলার মাঠ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি কাজটি সফল হয় তাহলে তুরাগ নদীর তীরে খুবই দৃষ্টিনন্দন এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১০ নং সেক্টরের খেলার মাঠ ও পার্ক গড়ে উঠবে বলে আশা করা যায়৷
দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নিয়মিত কমিটি গঠন করার ওপরও বক্তারা আলোকপাত করেন। বক্তারা বলেন, গঠনতন্ত্রের বিধিমালা লঙ্ঘন করে অতীতে ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যকে সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। তদন্তে অনেক সদস্যের সদস্য ফরমের সাথে ফ্ল্যাট বা প্লটের মালিকানার দলিল বা নামজারির ডকুমেন্ট না থাকার তথ্য দেন প্রশাসক সহায়ক কমিটির দায়িত্বশীল সদস্য।
পরামর্শ সভায় বনায়নসহ সকল শুভ কাজকে সফল করার লক্ষে সেক্টরের সর্বস্তরের নাগরিকগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও একজোটে কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।