এখন পর্যন্ত ইজারাদার চূড়ান্ত না হওয়ায় হাসিল ছাড়াই পশু বেচাকেনা চলছে রাজধানীর দিয়াবাড়ি কুরবানীর পশুর হাটে।
বেপারীরা বলছে, ইজারাদার না থাকায় গরু-ছাগল বিক্রিতে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। বিশেষ করে হাটে খুঁটি-তাবু এসবের কিছুই না থাকায় পশু রাখতে চরম অসুবিধা হচ্ছে তাদের। এর ওপর টানা দু দিনের বৃষ্টিপাতে হাটে গরু নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন বেপারীরা।
আজ (শুক্রবার) উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টর দিয়াবাড়ি পশুর হাট সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, ইজারাদারহীন হাটে নেই কোন ব্যবস্থাপনা। এখন পর্যন্ত বাঁশ-খুটি না স্থাপন করায় বেপারীরা গরু-ছাগল রাখতে পারছে না। বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা পেতে অনেককেই নিজ উদ্যোগে বাঁশ-খুটি গেড়ে তাবু বানাতে দেখা গেছে। সবমিলিয়ে ইজারাদার না থাকায় দিয়াবাড়ি কুরবানীর হাটে এসে বিপাকে পড়েছেন গরুর বেপারীরা।
নাটোরের সিংড়া থেকে দিয়াবাড়ি হাটে ১৪টি গরু নিয়ে আসা মো. আরিফুল ইসলাম উত্তরা নিউজকে জানায়, আমরা আসার পর কোনো ইজারাদার পাইনি। পানির ব্যবস্থা নেই, গরুর রাখার জায়গায় ত্রিপল নেই, বিদ্যুৎও নাই। আমাদের গরুগুলো খাওয়ানোর জন্য দূর থেকে পানি এনে দিতে হচ্ছে। রাতে চারপাশে অন্ধকার—একটাও বাতি নাই।
চুয়াডাঙ্গার গরুর বেপারী আমিনুল ইসলাম উত্তরা নিউজকে জানায়, এখনো বাজার তেমন শুরু হয়নি। তবে ইজারাদার না থাকায় কেউ হাসিল নিচ্ছে না, তাই দু-একটা গরু বিক্রি হলেও হাসিল রাখা হচ্ছেনা। কয়েকদিন পর থেকে ভালোভাবে বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশা করছি।
এদিকে, গরু কিনতে এসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ক্রেতা সাধারণ। দিয়াবাড়ি হাটে গরু দেখতে আসা আবুল কামাল নামের এক ব্যাক্তি উত্তরা নিউজকে জানায়, গরুর দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে এখনো তারা দাম ছাড়ছে না। কয়েকদিন পর দাম কমবে বলে মনে করি। আমি প্রতি বছর এই হাট থেকেই গরু কিনি, এবারও এখান থেকেই কিনব।
আবুল হাসেম নামের অপর এক ক্রেতা বলেন, গরুর দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই আছে। ভালো গরু দেখা যাচ্ছে, পছন্দ হলে কিনে ফেলব ইনশাআল্লাহ।
এদিকে, হাট ব্যবস্থাপনা ও ইজারাদার চূড়ান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসি অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছাদেকুর রহমান উত্তরা নিউজকে বলেন, ইজারা কে পাবে সেটা ডিএনসিসির হেড অফিসের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্ততা নির্ধারণ করে থাকেন। এ ব্যাপারে নির্দেশনা আসলে আমরা দায়িত্ব পালন করব।
বিষয়টি নিয়ে জানতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা শওকত ওসমানকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।