ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে রফতানি পণ্য স্ক্যানিং করার জন্য চারটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম বা ইডিএস মেশিন রয়েছে। যার মধ্যেই দুটিই অচল হয়ে পড়ে আছে। একদিকে ইডিএস এর স্বল্পতা অন্যদিকে হজের কারণে কমেছে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। এই দুই সমস্যা নিয়ে চলতি বছরে আম-কাঁঠালসহ অন্যান্য ফল রফতানির জন্য বিদেশি এয়ারলাইন্সের ওপর নির্ভরতা বাড়বে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, চার-পাঁচ বছর ধরে অচল মেশিন গুলো মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। এত ফল মৌসুমে সঠিক সময়ে পণ্য না রফতানি করতে পারায় নানামুখী চাপে ও জটিলতার মধ্যে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় টার্মিনালের রফতানি কার্গো ভিলেজে স্থাপন করা হয়েছে আটটি ইডিএস মেশিন। তবে টার্মিনালটি চালু না হওয়ায় জরাজীর্ণ পুরতন কার্গো কমপ্লেক্সেই রফতানির কার্যক্রম অব্যহত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ কার্গো যায়, সে পরিমাণ কার্গো যদি দিনে একটা মেশিনও সার্ভিসেবল থাকে আমাদের জন্য যথেষ্ট। আমাদের এখানে দুইটা মেশিন ১৮ ঘণ্টা করে সার্ভিসেবল থাকে। ফলে রফতানি পণ্য স্ক্যানিংয়ে দেরি হওয়ার আশঙ্কা নেই। ইতিমধ্যেই ব্যয়বহুলের জটিলতায় নষ্ট দুটি ইডিএসের মধ্যে একটি মেরামতের চেষ্টা চলছে।