জানা গেছে, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কটির উন্নয়ন প্রকল্প তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম লটে রয়েছে ঝিনাইদহ শহরের বাস টার্মিনাল থেকে কালীগঞ্জ মাহাতাব উদ্দিন কলেজ পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৯
কিলোমিটার সড়ক। দ্বিতীয় লটে মাহাতাব উদ্দিন কলেজ থেকে যশোরের মুরাদগড় পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার। মুরাদগড় থেকে যশোরের চাঁচড়া পর্যন্ত তৃতীয় লটে রয়েছে।এর মধ্যে প্রথম লটে ২টি ভেহিকুলার ওভারপাস, ২২টি কালভার্ট ও ২টি সেতু রয়েছে।ইতিমধ্যে দুইটি ওভারপাস, একটি সেতু ও আটটি কালভার্টের কাজ শুরু করা হয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার বিষয়খালী, চটুলিয়া ও ধোপাঘাটা এলাকায় গার্ডার ও পিলার নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। সেই সঙ্গে হামদহ বাইপাস এলাকার ওভারপাসের গার্ডার নির্মাণের কাজ চলছে। চটুলিয়া মোড় এলাকায় লোড টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে।উইকেয়ার ঝিনাইদহ অংশের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মিলন আলী বলেন, ‘এখন সড়কের প্রধান অংশের কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম লটের কাজের জন্য নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জমি অধিগ্রহণের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বরতরা জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছেন।ঝিনাইদহ ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার প্রধান সহকারী মোহাম্মদ আলাউদ্দীন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরতরা তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি করেছে। তবে ভূমি অধিগ্রহণকাজের বেশ আগ্রগতি হয়েছে। খুব দ্রুতই জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন করা হবে।সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার উন্নয়নকাজ কয়েক বছর ধরেই চলছে। অনেক জায়গায় রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। আমাদের চলাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাই এই রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ হওয়া দরকার।সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সড়কটি প্রকল্পের অধীনে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে সড়কটি মেরামত ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে রাখার দায়িত্ব উইকেয়ার কর্তৃপক্ষের।এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ পর্যায়ে। ফাইল চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই প্রকল্পের আওতাধীন জমির মালিকেরা তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবেন।