তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫৪ বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন যদি আমরা এভাবে দেখি- ১৯৭১ সাল ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের আর ২০২৪ সাল ছিল দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার। বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রের স্বাধীনতাপ্রিয় লাখো শহীদের রক্তে লেখা স্মারকে ’৭১ আর ’২৪-এর রাজনৈতিক বার্তাটি হলো দিল্লির তাঁবেদার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পিন্ডি ত্যাগ করে নাই। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহি জনতাও এ বার্তা দিয়েছিল।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর নতুন করে আরও কমপক্ষে ২৫টি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক ময়দানে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, দেশের স্বার্থের প্রশ্নে বাংলাদেশের পক্ষের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক ও অভিন্ন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নাহিদ ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরীও। সকালে অনুষ্ঠান শুরুর আগে অতিথি ও দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন মজিবুর রহমান মঞ্জু।