ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভুত্থানের এক মাসপূর্ণ হওয়ায় রাজধানীর উত্তরায় ‘শহীদি মার্চ ও দোয়া’ অনুষ্ঠান কর্মসূচি পালন করেছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে চারটায় উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়। এসময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ আয়োজনটিতে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর তিনটায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমাজ উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে জড়ো হয়। পরে শহীদি মার্চের র্যালি নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজলক্ষী পয়েন্ট হয়ে উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে এসে পৌঁছায়। র্যালিতে এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা সাবেক স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের দাবীতে নানা স্লোগান দেয়। শহীদি মার্চে অংশ নেয়া ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হামজা বিন জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দিব না। খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের নেতৃত্বে আমাদের সহপাঠীদের উপর চালানো গণহত্যার বিচার আমরা চাই।
পরে বিকেলে হাজারো ছাত্র-জনতার সম্মিলিত মোনাজাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা নিজেদের সহপাঠী ও সন্তানদের হারানোর বেদনায় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।