দেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। ভোটারদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করছে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা। ওই নির্বাচনে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোটার ভোটদানে বিরত থাকতে পারে।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আব্দুস সালাম হলে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ) কর্তৃক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে বেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে এসব কথা বলেন ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করছে দেশ ও বিদেশের পর্যবেক্ষকরা। দলীয় সরকারের অধীনে প্রভাবমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে সেটি প্রমাণ করতে হবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন বর্জনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী, সমর্থক ও নির্বাচনবিরোধী প্রচারণার কারণে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোটার ভোটদানে বিরত থাকতে পারে বলে মনে করছেন দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তীক্ষ্ম নজর কেড়েছে। বহির্বিশ্বে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং নির্বাচনকে আরও প্রাণবন্ত করবে।
ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ্ নেওয়াজ, ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আহমেদ আবুল কালাম আজাদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, তানভীরুল ইসলাম, ড. আজাদুল হক ও মোহাম্মদ ইকবাল বাহার প্রমুখ।