বক্সিংয়ে ঘরোয়া খেলাধুলায় অবশ্য কোনো উন্নতি চোখে পড়েনি। এ বছরও হয়নি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। একই অবস্থা হকিতে। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ায়নি। এশিয়ান গেমসেও পিছিয়েছে জাতীয় দল। ষষ্ঠ থেকে হয়েছে অষ্টম।
এশিয়াডে হতাশ করেছে কাবাডি। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডিতে চায়নিজ তাইপেকে হারিয়ে সোনা জিতলেও এশিয়াডে সেই তাইপের কাছে হেরেই সেমির দেখা পাননি ছেলেরা। মেয়েরাও ফিরেছেন শূন্য হাতে।
শ্যুটিংয়ে বছরের শুরুতে জাকার্তা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে চমক দেখিয়েছিলেন কামরুন নাহার। কিন্তু বছরজুড়ে সেই ফরম ধরে রাখতে পারেননি তিনি। বলার মতো কিছু করতে পারেননি এশিয়ান গেমসেও।
গলফে পেশাদার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশাজনক বছর কাটিয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান। এশিয়ান ট্যুর র্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ৬০-এর বাইরে ছিটকে গিয়ে আগামী মৌসুমের এশিয়ান ট্যুর কার্ড হারিয়েছেন তিনি। জামাল হোসেন অবশ্য এ বছর ভারতীয় ট্যুরে তাঁর দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছেন। বেশির ভাগ সময় ছিলেন র্যাংকিংয়ের শীর্ষ পাঁচে।
দাবায় ফাহাদ রহমানের গ্র্যান্ডমাস্টার নর্মের অপেক্ষা ফুরায়নি এ বছরও। এ বছরই প্রথম ইউরোপে দুটি টুর্নামেন্ট খেলেছেন তিনি। সেখানে এবং পরে ভিয়েতনামে নর্মের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি।
এ বছর যুব গেমস হয়েছে। তবে আলোচিত নতুন মুখের দেখা মেলেনি। বিভিন্ন খেলার জুনিয়র পর্যায়ে সফল হওয়া তরুণরাই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। তবে বয়স ইস্যুতে বিতর্কিত হয়েছে এই গেমস। প্রশ্ন ছিল দ্রুততম মানব-মানবী নিয়েই।