বর্তমানে বিশ্বের প্রতিবন্ধী শ্রেণির লোকের সংখ্যা ১৫ শতাংশ। শারীরিক ও মানসিক বিবিধ শ্রেণির প্রতিবন্ধিতা বৃদ্ধিতে অধিক জনসংখ্যা, দীর্ঘস্থায়ী নানা রোগের বিস্তার, পরিবেশ, অর্থনীতি প্রভৃতি নিয়ামককে দায়ী করা হয়।
লার্নিং প্রতিবন্ধীদেরও দেখে সহজে বোঝা সম্ভব হয় না যে তার মধ্যে এ ধরনের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। কিন্তু লার্নিং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিও একজন প্রতিবন্ধী। এই শ্রেণির প্রতিবন্ধীরা অদৃশ্য শ্রেণির মধ্যে পড়ে। অটিজমও অদৃশ্য শ্রেণির। এদের প্রতিবন্ধিতার ধরন চোখে দেখা যায় না; অদেখা। বিশেষজ্ঞ ছাড়া সাধারণের পক্ষে শারীরিক অদেখা এই অবস্থাগুলো বোঝা সহজ নয়। এমনকি চোখ-মুখ দেখেও তাদের এই প্রতিবন্ধকতার ধরন খুব একটা অনুমান করা সম্ভব হয় না। দেখেই চটজলদি বলা সহজ হয় না যে সে অটিজমের শিকার। এদের কারো কারো মধ্যে এক বা একের অধিক ধরনের প্রতিবন্ধিতা থাকতে পারে। অটিজম শিশুর মধ্যেও থাকতে পারে লার্নিং ডিজঅ্যাবিলিটি, থাকতে পারে দৃষ্টিহীনতা। সুতরাং, এই শিশু বা ব্যক্তির মধ্যে অটিজম, লার্নিং ডিজঅ্যাবিলিটি, দৃষ্টিহীনতাসহ তিন ধরনের ডিজঅ্যাবিলিটি রয়েছে। এই প্রতিবন্ধিতার ধরন বহুমুখী। এই শিশু বা ব্যক্তি যদি অমৌখিক বা বাক্যহীন হয়ে থাকেন, তবে তার মধ্যে চার ধরনের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। মনে রাখতে হবে, অটিজম শারীরিক বা মানসিক কোনো প্রতিবন্ধিতা নয়; না কোনো রোগ, না ব্যাধি। এটি একটি অবস্থা। অটিজম নিয়েই এই শিশু জন্মগ্রহণ করে। কিংবা অটিজম এমন কিছু নয় যে, লালন-পালনের কারণে পরবর্তী জীবনে তা বিকশিত হয়। জন্মের পর শুধু কিছু সময়ের ব্যবধানে অটিজমের লক্ষণগুলো আমরা দেখতে পাই।
সুতরাং, প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে বিশদভাবে জানা ও ধারণা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত গবেষণা, বই-পুস্তক ও প্রচার-প্রচারণা।
লেখক: শিক্ষক