জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৯২ সালে প্রথম বিশ্বব্যাপী ৩ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস’ উদযাপনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য হলো ‘বিশ্বব্যাপী বসবাসরত এক বিলিয়নের (১০০ কোটি) অধিক প্রতিবন্ধী মানুষের চাহিদাগুলো বোঝা ও তা প্রচার করা এবং তাদের মর্যাদা, অধিকার এবং কল্যাণের জন্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ও সিভিল সোসাইটির সমর্থন আদায় করা। ’ কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, ‘১৯৯২ থেকে ২০২২ সাল—এ দীর্ঘ ৩০ বছরের পথপরিক্রমায় সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া-পিছিয়ে থাকা ও পিছিয়ে রাখা প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের কতটা অগ্রগতি সাধিত হয়েছে? আর কতটা পথ হাঁটলে এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে? তা সত্যিই আজ ভাবনার বিষয়!
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক বিভাগের তথ্যানুযায়ী (২০২২) সারা বিশ্বে মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার। বিশ্বের মোট এক বিলিয়ন প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৫৩ মিলিয়ন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, ৪৬৬ মিলিয়ন বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী, ২০০ মিলিয়ন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং ৭৫ মিলিয়ন হুইল চেয়ার ব্যবহাকারী প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে।
এদের ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ উন্নয়নশীল দেশে বসবাস করে। গবেষণায় দেখা যায়, যে সমাজে দারিদ্র্যের হার যত বেশি এবং শিক্ষার হার যত কম, সেই সমাজে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা তত বেশি। মূলত দারিদ্র্য, শিক্ষাহীনতা আর প্রতিবন্ধিতা একসূত্রে গাঁথা। ইউনেসকোর তথ্য মতে, বিশ্বে ২৪০ মিলিয়ন প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে (প্রতি ১০ জনে একজন প্রতিবন্ধী শিশু)। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বিশ্বে দুজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কোনো ধরনের চিকিৎসাসেবা পায় না। বিশ্বে ৩৮৬ মিলিয়ন প্রতিবন্ধী মানুষের কর্মবয়স রয়েছে (১৮ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে), তথাপি কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে মাত্র ৩৮.৬ মিলিয়ন প্রতিবন্ধী মানুষ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক জাতীয় জরিপ (এনএসপিডি) ২০২১-এর তথ্য মতে, ৫৭.৪৩ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ ইন্টারনেট, ৯৯.৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা, ৯৯.২৫ মানসম্মত পানি এবং ৯২.২৯ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশ গণশুমারি ২০২১-এর তথ্য মতে, দেশে মোট জনসংখ্যার ২.৮০ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধী। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ২৯ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩ জন প্রতিবন্ধীকে জরিপের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে। সরকারি হিসাব মতে, ১৮ লাখ প্রতিবন্ধী মানুষ এখনো জরিপের বাইরে রয়ে গেছে। দেশে জরিপের অন্তর্ভুক্ত প্রতিবন্ধী শিশুর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৪৮ জন। এনএসপিডি ২০২১-এর তথ্য মতে, দেশে ৪০.৫৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু প্রাইমারি স্কুলগামী এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৪.৩৬ শতাংশ। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু এখনো স্কুলগামী নয়। কর্মক্ষম প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে মাত্র ২৭ শতাংশের দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পায় ২৬.৭৩ শতাংশ, প্রাইভেট স্বাস্থ্যসেবা পায় ৭১.৬০ শতাংশ এবং এনজিও থেকে স্বাস্থ্যসেবা পায় মাত্র ০.৩১ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ। এই বাস্তবতায় এবারও প্রতিবছরের মতো আশা-নিরাশা-পাওয়া-না পাওয়ার বঞ্চনার মেলবন্ধনে পালিত হতে যাচ্ছে ‘আর্ন্তজাতিক প্রতিবন্ধী দিবস’।
আজ ৩ ডিসেম্বর। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে পালিত হচ্ছে ৩১তম আন্তর্জাতিক এবং ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘Transformative solutions for inclusive development : the role of innovation in fueling an accessible and equitable world (অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য রূপান্তরমূলক সমাধান : একটি প্রবেশযোগ্য এবং ন্যায়সংগত বিশ্বের জ্বালানিতে উদ্ভাবনের ভূমিকা)। ’ গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে বিশ্ব জাতিসংঘের ইতিহাসে একটি সংকটময় মুহূর্তের স্বীকৃতিস্বরূপ সবার জন্য এবং আগামী প্রজন্মের জন্য আরো টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে যৌথ সমাধান খুঁজে বের করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে উল্লেখ করে। কারণ কভিড-১৯ মহামারির ফলে সৃষ্ট ধাক্কা, ইউক্রেন এবং অন্যান্য দেশে যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব অর্থনীতির সংকটের এই মুহূর্তে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতো দুর্বল পরিস্থিতিতে থাকা মানুষগুলো উন্নয়নের মূল স্রোতধারা থেকে আবার বাদ পড়ছে। এসডিজি-২০৩০ এজেন্ডা ‘কাউকে বাদ নিয়ে নয়’ কেন্দ্রীয় ভিত্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, বিশ্বকে সবার উপযোগী করতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা এ বছরের প্রতিপাদ্যের মূল বিষয়। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন এবং রূপান্তরমূলক সমাধান খোঁজা আজ সময়ের দাবি। এর জন্য প্রয়োজন কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন (এসডিজি-৮)-এর যথাযথ বাস্তবায়ন এবং এ প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্তকরণ। দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিগত ল্যান্ডস্কেপে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা এবং এর প্রায়োগিক সূত্র স্থাপনে কিভাবে তা প্রতিবন্ধীবান্ধব করা যায় এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা। একই সঙ্গে ‘বৈষম্য হ্রাসে প্রতিবন্ধী সমন্বিত উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন (এসডিজি-১০)-এর বাস্তবায়ন। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বৈষম্য কমাতে উদ্ভাবন, ব্যাবহারিক সরঞ্জাম এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব ভালো উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ হতে পারে খেলাধুলা, যেখানে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের সব দিক (শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস) একত্রে পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথ কি মসৃণ না বন্ধুর, নাকি এর মাঝামাঝি—এ প্রতিউত্তর খোঁজা খুবই জরুরি।
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের (২০১৩) আলোকে প্রণীত বিধিমালা এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা কতখানি বাস্তবায়িত হয়েছে—তা আজও অনেক বড় একটি প্রশ্ন। এই আইনের আওতায় গঠন করা শহর পর্যায় থেকে উপজেলা, জেলা ও জাতীয় সমন্বয় কমিটি একপ্রকার অকার্যকরই রয়ে গেছে। সুধীসমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোর সমন্বিত, বড় ও কার্যকর কোনো উদ্যোগ এখনো পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যাঁরা সম্পৃক্ত তাঁদের প্রতিবন্ধীবান্ধব করে তুলতে পারেনি। যদিও এর ব্যতিক্রম নিশ্চয় রয়েছে। তবে তা তুলনামূলকভাবে খুবই কম। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে শব্দচয়নেও অনেক বিতর্ক রয়ে গেছে। কেউ সম্বোধন করছেন ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি বা শিশু’, কেউ বা সম্বোধন করছেন ‘ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তি’, কেউ বলছেন ‘অক্ষম’, আবার সরকার বলছে ‘সুবর্ণ নাগরিক’। অথচ জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সনদ এবং দেশীয় আইনে যে শব্দ স্বীকৃত তা যথাযথ মর্যাদা ও আবেগ দিয়ে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক পক্ষেরই অনীহা লক্ষ করা যায়। শব্দচয়নের ক্ষেত্রে এই বিশৃঙ্খলার অবসান হওয়া উচিত। দেশে এক হাজার ৮০০-এর অধিক বিশেষায়িত স্কুল স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছে; কিন্তু এখনো এর জুঁতসই সুরাহা করতে পারেনি সরকার। যেসব স্কুল আগামী দিনে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত হবে, সেগুলো সমাজকল্যাণ, নাকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত হওয়া উচিত তারও একটি যুক্তিসিদ্ধ উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না। বিদ্যমান সিদ্ধান্তে এনডিডি স্কুলগুলো এনডিডি ট্রাস্ট এবং নন-এনডিডি স্কুলগুলো জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আওতায় পরিচালিত হবে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এখনো সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট শিক্ষা কারিকুলাম চালু করতে পারেনি। এমনকি ধারণাও দিতে পারেনি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান নিয়েও দেশে এক জটিল একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের একেক সংস্থা একেক রকম পরিসংখ্যান দিচ্ছে। আদমশুমারি ২০২১-এর তথ্য মতে, ২.৮ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে আরো কম। আবার ২০১৭ সালের বিবিএসের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে প্রায় ৯ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধী। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে ১০ শতাংশ (জাতিসংঘ), কেউ বলে ১৫ শতাংশ, আবার কেউ বলে ২০ শতাংশ (আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা)। পরিসংখ্যান নিয়ে এই জটিল পরিস্থিতি থেকে আমাদের খুব শিগগিরই উত্তরণ হওয়া জরুরি।
বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, দুর্যোগ প্রশমনসংক্রান্ত নীতিমালা, যেমন—সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক, ঢাকা ঘোষণা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনসংক্রান্ত নীতিমালা—কোথায় নেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তির কথা। এসব নীতিমালা আর নীতিকাঠামোর সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে প্রান্তিক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী ও তাদের সংগঠনগুলো উন্নয়নের অংশীদার হতে পারছে না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকেন্দ্রিক সরকারের উন্নয়ন কৌশল অনেক বেশি ভাতানির্ভর রয়ে গেছে। কল্যাণ সাধনের দর্শনকে ছেড়ে অধিকারভিত্তিক উন্নয়নের দর্শনকে ধারণ করার কাজটি আমাদের সরকার এখনো করে উঠতে পারেনি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর নামমাত্র অংশই এই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ থাকে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর যে কৌশলপত্র বাংলাদেশ সরকার করেছে তার যথাযথ বাস্তবায়নে কর্মসংস্থান, কারিগরি শিক্ষা, প্রবেশগম্যতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, ইত্যাকার বিষয়ে কিছু কিছু অগ্রগতি থাকলেও মোটা দাগে উদযাপন করার মতো অর্জনে আরো অনেকটা পথ প্রতিবন্ধীবান্ধব এ সরকারকে পাড়ি দিতে হবে। তবে এর দায়ভার শুধু সরকারের একার নয়, এর পেছনে অনেক ক্ষেত্রেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সুধীসমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোর দ্বিধা ও সমন্বয়হীনতাই অনেক বেশি দায়ী। প্রতিবন্ধী মানুষ, বিশেষ করে প্রান্তিক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট সেক্টর, সুধীসমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন—সবার সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে পদ্ধতিগত ও গঠনমূলক বিতর্ক, উত্তরোত্তর গবেষণা ও চর্চার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছতে হবে। তা ছাড়া সবার বসবাসযোগ্য সোনার বাংলা গড়া অথবা প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
লেখক : প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক গবেষক
লেখক ও প্রশিক্ষক
mahbuburrahman77@gmail.com