নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্ত্রী বিবি ফাতেমা আক্তার পলি (৩৯) হত্যার দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বামী মঈন উদ্দিনকে (৪২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। মঈন বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামের গোলাপ রহমানের ছেলে।
বর্তমানে তিনি পলাতক। ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট ফাতেমাকে খুন করে ড্রেনে লাশ ফেলে দেন মঈন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ মামলার রায় হলো।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, ফাতেমা হত্যার ঘটনায় আসামি মঈন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অন্য আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০০৫ সালে কিছু বখাটের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন ফাতেমা। এদের মধ্যে মঈনও ছিলেন। মামলা থেকে বাঁচতে ফাতেমাকে বিয়ে করেন মঈন। পরে ওই বছরের ৩১ আগস্ট ফাতেমাকে হত্যা করে লাশ ড্রেনে ফেলে দেন মঈন। এ ঘটনায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।