দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ লাঘব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খিলক্ষেত থানা এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ড ও সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের উভয় পাশ থেকে সব ভাসমান হকার ও ভিক্ষুকদের উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন। এতে শত শত ভাসমান দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজে পথচারীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত হয়েছে। যানজটেরও কিছুটা অবসান ঘটে।
স্থানীয় পথচারী মাসুদ পারভেজ জানান, “প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে। হকার ও ভিক্ষুকদের কারণে চলাচলে ভোগান্তি হতো। পুলিশের এই পদক্ষেপে দুর্ভোগ দূর হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে জায়গাগুলো আর দখল হবে না।”
রাজউক দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, “হকার ও ভিক্ষুকদের ভিড়ে প্রায়ই চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত। ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় পথচারীরা এখন অনেক নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন।”
খিলক্ষেত টানপাড়া কল্যাণ সোসাইটির আহ্বায়ক জাহিদ ইকবাল বলেন, “ফুটপাত ও ব্রিজ দখলমুক্ত করা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। পুলিশের এই পদক্ষেপে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পুলিশ ও স্থানীয় সমাজসংগঠনগুলো একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশা করি।”
ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “জনগণের সুবিধার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজ যেন পুনরায় দখল না হয়, সে জন্য আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাব এবং প্রয়োজনে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
স্থানীয়দের মতে, জনবহুল খিলক্ষেত এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে পুলিশের এই উদ্যোগে পথচারীরা আপাতত স্বস্তি পেলেও, কতদিন এই পরিস্থিতি টিকে থাকে সেটিই এখন দেখার বিষয়।