অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। চলতি বছরে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজার হাজার অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ, ওয়াশব্লক, সীমানা প্রাচীর ও নলকূপ নির্মাণসহ নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। কক্সবাজারে দশতলা বিশিষ্ট লিডারশীপ ট্রেনিং সেন্টারও উদ্বোধনের পথে।
শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন এবং ১৬ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং বেইজলাইন সার্ভে পরিচালনা করে শিক্ষার্থীদের শিখন মান মূল্যায়ন করা হবে।
২০২৫ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু হয়েছে; ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হবে। পাঠ্যবই বিতরণ, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ, নতুন প্রকল্প গ্রহণ, আইসিটি সক্ষমতা বৃদ্ধি ও একীভূত শিক্ষায় ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন ও শিক্ষক প্রশিক্ষণে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় পঞ্চম কর্মসূচিরও পরিকল্পনা চলছে। প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ চালু এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় শিক্ষার উন্নয়নে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিসহ বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।