টঙ্গীর পাগার গ্রামের প্রিয় মুখ, তরুণ সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মারুফ হাসান আর নেই। বুধবার (তারিখ) বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪০ বছর।
মারুফ হাসান ছিলেন একজন উদীয়মান সমাজসেবক, যিনি তাঁর সদালাপী স্বভাব, মানবিক মনোভাব এবং পরোপকারের মানসিকতার জন্য স্থানীয় জনগণের কাছে ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও ভালোবাসার পাত্র। সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি তাঁকে যুবসমাজের রোল মডেলে পরিণত করেছিল।
তাঁর অকাল প্রয়াণে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোক। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
বুধবার বাদ এশা টঙ্গীর ফকির মার্কেট জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন। পরে তাঁকে তাঁর নিজ এলাকা পাগার মন্ডলবাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি মা, স্ত্রী, এক পুত্রসন্তান, ভাই-বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
মারুফ হাসানের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
এলাকাবাসী তাঁর মৃত্যুতে এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সবাই তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
সকলের একটাই প্রার্থনা—আল্লাহ তায়ালা যেন মরহুম মারুফ হাসানকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।