ঢাকার উত্তরায় সোমবারের ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্ত ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে মাত্র ১১ বছরের এক শিশু—সামিউল করিম। ছোট্ট হাতে খেলনা উড়োজাহাজ নিয়ে সকালেও খেলছিল সে, কল্পনায় ছুঁতে চেয়েছিল আকাশ। কিন্তু ভাগ্য নিষ্ঠুরভাবে তাকে সত্যিকারের আকাশ থেকে নামা উড়োজাহাজের আগুনে ঝলসে দেয়।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সামিউল স্কুল শেষে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মাত্র পাঁচ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বাবা রেজাউল করিম ছেলের চোখের সামনে মৃত্যু দেখেছেন, চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেননি। চিৎকার করে বলেছেন, “আমার ছেলেকে বাঁচাও!” কিন্তু হাসপাতাল থেকে ফিরেছে একটাই উত্তর—“দুঃখিত, আমরা পারিনি।”
পরিবারের একমাত্র ছেলে সামিউলের মৃত্যুতে মা রেশমা করিম বাকরুদ্ধ, দাদি-নানার মুখে শুধু হাহাকার। তার মামা এই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে—“এটা কি শুধু দুর্ঘটনা, নাকি নির্মম অবহেলার ফল?”
সামিউলের দাফন হয়েছে গোপালগঞ্জের মেহেন্দীগঞ্জে, নানার কবরের পাশে। আর তার খেলার উড়োজাহাজ পড়ে আছে শোকেসে, নিস্তব্ধ ঘরে।
এই মৃত্যু শুধু একটি শিশুর নয়—এটা একটি পরিবারের, একটি সমাজের বুক ফাটা কান্না। প্রশ্ন থেকে যায়—আর কত সামিউলকে হারাতে হবে?