রাজধানী উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষন জেট বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দগ্ধ অবস্থায় একের পর এক আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালসহ আশপাশের মেডিকেলগুলোতে।
দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক আহতকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয়েছে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহতদের অধিকাংশই শিশু। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রক্তের জন্য ব্লাড ডোনারদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
অপরদিকে, সন্তানদের খোঁজ জানতে অনেক অভিভাবককেই হাসপাতালের সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে আসা আলী হোসেন নামের এক অভিভাবক জানায়, আমার ছেলের পা পুড়ে গেছে। এই বলে কান্না করতে শুরু করেন তিনি।অন্যদিকে, আহত অনেককেই আনা হয়েছে উত্তরার অপর হাসপাতাল মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়াও উত্তরার কুয়েত মেত্রী, ক্রিসেন্ট, মহিলা হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালগুলোতেও অনেককে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, হতাহতদের সংখ্যা এখন পর্যন্ত কেউই নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে আল আমিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিমান পরার জায়গায় গিয়ে ৪/৫ জনকে পোড়া অবস্থায় মৃত পড়ে থাকতে দেখেছি।
নাহিদ নামের মাইলস্টোন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জানায়, আমি ক্লাশে ছিলাম। বিকট শব্দ হওয়ার পর বাইরে এসে দেখি আগুন। অনেকে বের হতে পারেনি।
হতাহতের বিষয়টি জানতে চাইলে মাইলস্টোন কলেজের সহকারী এডমিন ইসমাইল ফুয়াদ জানান, অনেকেই আহত হয়েচেন। সঠিক সংখ্যা বলতে পারছি না। এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনের ওপর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে এখনো হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।