বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষগুলোও বুড়িয়ে যায়। কোষগুলোর স্বাভাবিক ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ার ফলে স্মৃতিশক্তি কমতে শুরু করে। এ ছাড়া কোনো কারণে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে মস্তিষ্কের কোষগুলোর কর্মক্ষমতা কমে যায়। তীক্ষ মেধা, অটুট স্মরণশক্তি মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো যাতে হ্রাস না পায় তা নিশ্চিতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন।
‘ব্রেন গেম’ খেলা
বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতে হবে এমন খেলা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। ইন্টারনেটে এ ধরনের গেম পাবেন। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে ‘শব্দজট’ খেলার অভ্যাস করা যেতে পারে।
পুষ্টিকর খাবার খান
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিটামিনযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাজা ফলমূল, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, গমের রুটি প্রভৃতি প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। মাছ, তেলের বীজ, বাদাম ইত্যাদি স্নেহজাতীয় খাবার বাড়িয়ে দিন। পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি পান করুন। চিনি, লবণ কম খান।
মানসিক চাপ বাড়লে স্মৃতিশক্তি কমে। এ জন্য কাজের পরিবেশকে ভালো করুন। বন্ধু ও পরিচিতজনের সংখ্যা বাড়ান। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ও আলাপে সময় কাটাতে হবে। কমিউনিটির নানা কাজে সম্পৃক্ত থাকা ভালো।
পর্যাপ্ত ঘুমান
পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। নির্ঘুম শরীর অনেকাংশেই মনের ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। তাই ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমান, কিন্তু বেশি ঘুম নয়। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুম হলে মস্তিষ্ক সজাগ হওয়ার সময় পায় না।
লিখে রাখুন
যে বিষয়গুলো মনে রাখতে চান তা লিখে ফেলার অভ্যাস করুন। লেখার সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তপ্রবাহের পরিমাণ বাড়ে। তাই লিখে রাখুন ডায়রিতে, ই-মেইলে।
বাইরে হাঁটুন
শরীর সক্রিয় রাখতে ঘরে নয় বরং বাইরে গিয়ে হাঁটুন। বয়স্কের মধ্যে যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, সচল থাকেন, তাঁদের বৌদ্ধিক উন্নতি বেশ লক্ষণীয়।
রুটিন চেকআপ করান
হৃপিণ্ডের বিভিন্ন অসুখের কারণেও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই নিয়মিত রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত।
মায়োক্লিনিক অবলম্বনে
এ জাতীয় আরো খবর..