রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার রেলের সরকারি জমি থেকে গত বৃহস্পতিবার একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক ও অনলাইন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।
আজ শুক্রবার (২৭শে জুন,২০২৫) রেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তার অফিসিয়াল ফেসবুকে এ বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, “গত বছর দুর্গাপূজার সময় কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই কিছু ব্যক্তি রেলের জমিতে একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেন। মণ্ডপ নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল শুধু পূজা অনুষ্ঠানের জন্য এবং স্পষ্টভাবে শর্ত ছিল পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার। কিন্তু পূজা শেষে মণ্ডপটি সরানোর পরিবর্তে সেখানে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো হয়।”
তিনি আরো বলেন, “রেল কর্তৃপক্ষ বারবার মণ্ডপ সরানোর অনুরোধ ও নির্দেশ দিলেও আয়োজকরা কর্ণপাত করেননি। অবশেষে অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৃহস্পতিবার (২৬শে জুন,২০২৫) মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।”
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ও কাঁচাবাজার সরানো হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে অবৈধ দখল থেকে জমি মুক্তির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অস্থায়ী মন্দিরের প্রতিমাগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেল কর্তৃপক্ষ জনগণকে অনুরোধ করেছে যে, তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবেন।
এ ঘটনার মাধ্যমে রেল কর্তৃপক্ষ সরকারের সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান প্রদর্শন করেছে এবং আইনবিরুদ্ধ দখল প্রতিরোধে কঠোরতার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ও আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণের গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরেছে।