বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:

দৌলতখানে ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

ভোলার দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের তথ্য পাওয়া গেছে। জাল জালিয়াতির এমন ঘটনার অভিযোগ উঠেছে  উপজেলা নির্বাহী অফিসের প্রসেস সার্ভার পলাশ চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে । পৃথক তিনটি চেকের মাধ্যমে সে সোনালী ব্যাংক দৌলতখান শাখা ও ভোলা সদর শাখা থেকে মোট ৭ লাখ ২০  হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে বলে জানা গেছে।

সূত্র মতে জানা যায়, টাকা উত্তোলনের এমন রহস্যজনক ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস এর প্রসেস সার্ভার পলাশ চন্দ্র দেবনাথ একই অফিসের নাজির ওবায়দুল কাদের ও  অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাস্বাক্ষরিক শাহীন আলম  পরস্পর এ তিনজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল’ ২০২৪, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,  ও ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে পৃথক তিনটি চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়তি রানী কৈরী  টিআইবির একটি কর্মশালায় অংশ নেয়ার জন্য ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে তার স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলন করা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংক দৌলতখান শাখা থেকে  উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলের হিসাব থেকে চেকের মাধ্যমে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে। টাকা উত্তোলনের পর ব্যাংক থেকে মোবাইলে মেসেজ আসলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি  অবগত হন। তিনি ঢাকা থেকে দৌলতখানে তার অফিসে আসলে তদন্তের মাধ্যমে তার কাছে জাল জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলন ও  অর্থ আত্মসাৎ এর প্রমান মেলে। এ ঘটনার আগেও একই হিসাব নম্বরে  চেক এর  মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক ভোলা সদর শাখা থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা  উত্তোলন করা হয়। অপর দিকে  আগে দৌলতখান উপজেলা থেকে মনপুরায় বদলিকৃত সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাঠান মো. সাইদুজ্জামান এর সময়ও বিবিধ ব্যাংক হিসাব থেকে তার স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে জাল জালিাতির এ  চক্রটি। এদিকে জাল জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের প্রমাণ মেলে।

ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে পলাশ চন্দ্র  দেবনাথ অফিসে আসা বন্ধ করে দেন। নাম না জানাতে ইচ্ছুক ইউএনও অফিসের একাধিক ব্যক্তি জানান, জাল জালিয়াতির ৩ সদস্যের এ চক্রটি ২০১৬ সাল থেকে একই অফিসে চাকরি করে আসছেন। ইউএনও অফিসে গিয়ে পলাশ চন্দ্র দেবনাথ কে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, টাকা উত্তোলনের বিষয়টি প্রকাশ হলে সে আর ইউএনও অফিসে চাকরি করতে আসছেন না।  এ ব্যাপারে শাহিন আলমকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় টাকা উত্তোলনের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। অফিসের চেক ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নাজির ওবায়দুল কাদেরের কাছে থাকে। অফিসের নাজির ওবায়দুল কাদের জানান, আমার অফিস থেকে আমার অজান্তে পলাশ চন্দ্র দেবনাথ চেক চুরিকরে নিয়ে ইউএনও স্যারের স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ  করেছে। মঙ্গলবার ১১ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়তি রানী কৈরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আমার দেশকে বলেন, জাল জালিয়াতি করে স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি পলাশ চন্দ্র দেবনাথ স্বীকার করে উত্তোলনকৃত টাকা  ব্যাংকে জমা দিয়েছে। ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সে আর অফিসে আসছে না। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩
themesba-lates1749691102