মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন

দায়সারা কাজ করে সাড়ে ৩০ টন চাল আত্মসাৎ

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ করে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে পুরো  চাল তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো হলো বনগ্রাম দুলালের বাড়ি থেকে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত সড়ক (৫.৫ মেট্রিক টন), চকরামাকান্ত পাকা সড়ক থেকে আব্বাসের বাড়ির সড়ক (৯ মেট্রিক টন), চকমানিক মসজিদ থেকে  সোহবারের বাড়ির সড়ক (৭ মেট্রিক টন) এবং চকগৌরী সেতু থেকে আতাউরের বাগান অভিমুখী সড়ক (৯ মেট্রিক টন)।সরকারি হিসাবে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী আত্মসাৎ করা ৩০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চালের বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা।সরেজমিনে প্রকল্প এলাকাগুলো ঘুরে কোথাও প্রকল্পের কোনো কাজ চোখে পড়েনি। দু-একটি স্থানে সামান্য মাটি ফেলে পুরো কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে।চকগৌরী সেতু থেকে আতাউরের বাগান অভিমুখী সড়কে একেবারেই কোনো কাজ করা হয়নি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকগৌরী গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে মাত্র একদিন সামান্য কাজ করানো হয়েছে। এভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। অথচ গ্রামীণ এলাকার সড়কগুলো অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।বনগ্রাম দুলালের বাড়ি থেকে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাকে নামমাত্র সভাপতি করা হয়েছে। প্রকল্পের সবকিছু দেখভাল করেন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু ও ইউপি সদস্য মনসুর রহমান। কত টনের প্রকল্প, সেটাও আমাদের জানানো হয় না। শুধু কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।’আরেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি তানজিলা খাতুন বলেন, ‘প্রকল্প সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।সবকিছু মনসুর মেম্বারই করেন।’এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাই, উপজেলায় গেলে কথা হবে।’ এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলামকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা ধরা হয়নি।এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102