মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন

অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কাগজশিল্প

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
অর্থনৈতিক মন্দা, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার নেতিবাচক প্রভাবে দেশের কাগজশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলস্ পিএলসির ওপরও।আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় বসুন্ধরা পেপার মিলস্ পিএলসির ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কম্পানির উপদেষ্টা ও বিকল্প পরিচালক এ আর রশীদি।সভায় পরিচালক মণ্ডলীর পক্ষে বিকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুল আলম ও মো. মাহবুবুর রহমান এবং স্বতন্ত্র পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সভায় যুক্ত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান এফসিএ, চিফ অপারেটিং অফিসার মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান, প্রধান অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেনসহ বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকগণ এবং কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব এম. মাজেদুল ইসলাম।সভায় গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালক নির্বাচন এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক নিয়োগসহ আলোচ্যসূচি অনুমোদন করা হয়।আলোচ্য বছরে কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্তও অনুমোদিত হয়।সভাপতির বক্তব্যে এ আর রশীদি বলেন, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনীতি ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর প্রভাব কাগজশিল্পেও পড়েছে। কাগজের চূড়ান্ত চাহিদার মৌসুমে অর্থনৈতিক মন্দা, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, ঋণের সুদের উচ্চ হার, কাঁচামালের অপ্রতুলতা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে কোম্পানির কার্যক্রম গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে।তিনি জানান, এসব প্রতিকূলতার ফলে আলোচ্য অর্থবছরে কম্পানির মোট আয় আগের বছরের তুলনায় ৫৪ দশমিক ১২ শতাংশ কমে গেছে। প্রায় সব খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কম্পানিকে বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বসুন্ধরা পেপার মিলস্ পিএলসি প্রায় ৭০ কোটি টাকার কাগজ ও কাগজজাত পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এ বছর প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি। এছাড়া আয়কর, আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর বাবদ কোম্পানি প্রায় ৬২ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে।শিল্প রক্ষায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সভাপতি এ আর রশীদি বলেন, কাগজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও কাঁচামালের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শিল্পটি চাপে রয়েছে। দেশীয় শিল্প রক্ষায় বিদেশি কাগজ আমদানি নিয়ন্ত্রণ, কর ও শুল্ক হ্রাস এবং কাগজশিল্পের জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।এদিকে আর্থিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সুশাসনের স্বীকৃতি হিসেবে বসুন্ধরা পেপার মিলস্ পিএলসি ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ কর্তৃক ‘বেস্ট কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অর্জন করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102