টাইফয়েড প্রধানত আক্রান্ত ব্যাক্তির মলের সংস্পর্শে আসা দূষিত পানি বা খাবারের মাধ্যমে বিস্তার ঘটে এবং অন্যান্যদের মাঝে সংক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই জীবাণু একমাত্র মানুষের দেহেই অবস্থান করে এবং ২টি চক্রে বিস্তার লাভ করতে পারে। প্রথম সংক্ষিপ্ত চক্র (Short-cycle)-
যা দূষিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে, দূষিত পানি পানের মাধ্যমে এবং স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব থাকলে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে- দীর্ঘ চক্র (Long-cycle)।
এই প্রক্রিয়ায়- পরিবেশের দূষণ, যেমন: নর্দমার দূষিত পানি, অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে পাইপলাইনের পানি পরিশোধন করলে, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে ল্যাব স্টাফ দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে ও মানব মল অথবা অপরিশোধিত নর্দমার বজর্জ্যকে কৃষিক্ষেতে সার হিসেবে ব্যবহার করলে।
টাইফয়েড জীবাণুর সুপ্তকাল: সাধারণত জীবাণু প্রবেশের পর গড়ে ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে টাইফয়েড জ্বর হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ৩ দিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত হতে পারে।
টিকা পেতে যা করবেন:
টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্দিষ্ট সকল শিক্ষার্থী এবং শিশুদের https://vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধন সনদের ১৭ সংখ্যা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। পরবর্তীতে ঐ একই ওয়েবসাইট থেকে টাইফয়েড টিকাদান কার্ড ডাউনলোড করে টিকাদানের দিন নিয়ে আসুন।
১২ অক্টোবর (রবিবার) থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) আওতায় সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন-২০২৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের এই টিকা প্রদান করা হবে। সারাদেশের পাশাপাশি ঢাকায় প্রায় ১০ লাখ ৩৪ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
উল্লেখ্য, টিকার প্রাপ্যতা অনুযায়ী যাদের ১৭সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নেই অথবা যে সকল শিক্ষার্থী ৮ম/৯ম শ্রেণিতে পড়ে কিন্তু বয়স ১৫ বছরের বেশি তাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্য সহকারী/টিকাদানকর্মীর সাথে যোগাযোগ করুন