ঝুঁকি
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানের সামরিক প্রধান মুনির ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক, জর্দান, মিসর এবং কাতারের মতো দেশের সামরিক ও বেসামরিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
সেনাবাহিনী বলেছে, গাজা বাহিনীর বিষয়ে মুনির পরামর্শ দিচ্ছেন, যেটা লেখক আয়েশা সিদ্দিকাও উল্লেখ করেছেন। দেশটিতে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, মার্কিন-সমর্থিত এই পরিকল্পনার অধীনে গাজায় পাকিস্তানি সেনারা থাকলে দেশি ইসলামপন্থী দলগুলো আবার বিক্ষোভ শুরু করতে পারে। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তীব্র বিরোধী। ইসলামপন্থীরা রাস্তায় লাখো মানুষ জড়ো করার ক্ষমতা রাখে।
পাকিস্তানের কঠোর ব্লাসফেমি আইন রক্ষা করার জন্য অক্টোবরে একটি শক্তিশালী ও সহিংস ইসরায়েল-বিরোধী ইসলামপন্থী দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। প্রশাসন তাদের নেতা ও ১ হাজার ৫০০-এর বেশি সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে এবং দলের সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। যদিও দলটি নিষিদ্ধ, তাদের আদর্শ এখনো জেগে আছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে পারে।
সিঙ্গাপুরের এস. রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো আব্দুল বাসিত বলেছেন, গাজা বাহিনী মাঠে নামলে যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়, তা দ্রুত বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, ‘মানুষ বলবে আসিম মুনির ইসরায়েলের নির্দেশ পালন করছেন—এটি অপ্রত্যাশিত কিছু হবে না।’