তারেক রহমান বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি মনে করে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস এবং মহানবীর ‘শান এবং মান’ সমুন্নত রেখে ইসলাম নিয়ে গবেষণায় নিঃসন্দেহে কোনো বাধা নেই। তবে ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে বিরোধ কিংবা ভিন্নমত অথবা হীন দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় বিধানের উদ্দেশ্যমূলক ব্যাখ্যা কখনো কখনো সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টিরও কারণ হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সংবিধানে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস’ অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। বর্তমানে সংবিধানে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস’ ‘কথাটি এভাবে রাখা হয়নি। কেন এভাবে রাখা হয়নি এ প্রশ্নটি আপনাদের সামনে রেখে গেলাম।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৪ সালে যখন পবিত্র রামাদান মাসে হঠাৎ করেই মুসলমানদের ধর্মীয় সংস্কৃতি ‘ইফতার মাহফিল’ আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটি ছিল বাংলাদেশে ইসলামী মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ। ২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকের ওপর হানাদার বাহিনীর মতো ক্র্যাকডাউন চালানো হয়েছিল। গণহত্যার প্রতিবাদে এবং হেফাজতে ইসলামের সমর্থনে বিএনপি সারা দেশে দুই দিন হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল।
তিনি আরো বলেন, যে কোনো পেশা কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটের গুরুত্ব বিবেচনা করে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ডিগ্রি ‘দাওরায়ে হাদিস’ অর্থাৎ ‘তাকমিল’ সনদকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ ২০০৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া সরকারের আমলেই নেওয়া হয়েছিল।