ইসলামে নামাজ কেবল শরীরের ইবাদত নয়, বরং তা মুমিনের আত্মিক সংযোগ, শৃঙ্খলা ও ঐক্যেরও প্রতীক। এ ইবাদতে সময়ানুবর্তিতা, জামা‘আতের ঐক্য এবং আজানের আহ্বানে সাড়া দেওয়া; সবকিছুই অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের এই প্রতিটি ধাপের মাহাত্ম্য এমনভাবে বর্ণনা করেছেন, যা জানলে একজন মুসলমান কখনো নামাজে গাফলতিতে লিপ্ত হতে পারবে না-
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَآءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوْا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوْا عَلَيْهِ لَاسْتَهَمُوْا وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِي التَّهْجِيْرِ لَاسْتَبَقُوْا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لَاتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا.আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আজান ও প্রথম কাতারের মর্যাদা মানুষ যদি জানত আর কুর‘আ নিক্ষেপ ব্যতীত সে সুযোগ তারা না পেত, তাহলে কুর‘আ নিক্ষেপ করত (অর্থাৎ লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিত), তেমনি আগে ভাগে জামাআতে শরীক হবার মর্যাদা যদি তারা জানত তাহলে তারা সেদিকে ছুটে যেত।তেমনি ঈশা ও ফজরের জামাআতে হাজির হবার মর্যাদা যদি তারা জানত তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা তাতে হাজির হতো। (বুখারি, হাদিস: ২৬৮৯)







