এক বিভক্ত ভোটব্যাংকশহরের উচ্চ ব্যয় ও জীবনযাত্রার খরচ মামদানির নির্বাচনী প্রচারের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ফলে তরুণ প্রগতিশীল ভোটারদের সমর্থন পান মামদানি। মামদানির সমালোচক গ্রিনব্লাটের মতো ব্যক্তিরাও স্বীকার করেছেন, তার জয়ের পেছনে মূল কারণ ছিল নাগরিকদের অর্থনৈতিক সমস্যার প্রতি তার অবিচল মনোযোগ।মামদানির ইহুদি সমর্থকেরা বলছেন, এই নির্বাচন প্রমাণ করেছে ইহুদি ভোট মোটেও একক কোনো মনোভাব বা দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে না। একজন ইসরায়েলি নাগরিক মামদানির প্রচারে সরাসরি কাজ করেছেন।২৬ বছর বয়সী রনি জাহাভি-ব্রুনার বলেন, ‘আমি মামদানিকে সমর্থন করি শুধু ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নিয়ে তার অবস্থানের কারণে নয়, বরং ওই অবস্থানের কারণেই।’ তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলা কোনো বড় ঝুঁকি।’অন্যদিকে, কেউ কেউ ৬৭ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু কুয়োমোর পাশে দাঁড়িয়েছেন শুধুমাত্র তার ইসরায়েলপ্রীতির কারণে। ৫০ বছর বয়সী অ্যালিসন ডেভলিন ম্যানহাটনের আপার ইস্ট সাইডের এক ইহুদি বাসিন্দা। তিনি কুয়োমোকে ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভীষণ হতাশ। আমি নিঃসন্দেহে উদ্বিগ্ন, কারণ আমি প্রকাশ্যে ইহুদি, প্রকাশ্যে জায়নিস্ট।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি জানি না এখন কী হবে। জানি না এই ঘটনার পর আমি শহরে থাকব কি না।’২৭ বছর বয়সী কোরিন গ্রিনব্লাট শহরের উচ্চশিক্ষা খাতে কাজ করেন। তিনি মামদানির সেই প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করেন, যেখানে তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে আগ্রহী ছিলেন। কোরিন গ্রিনব্লাট বলেন, ‘গাজার যুদ্ধ এখন ইহুদি রাজনীতিতে এক বিশাল পরিবর্তন এনেছে। এখন স্পষ্ট যে, কেউ কেউ ফিলিস্তিনপন্থী ইহুদি, কেউ ইসরায়েলপন্থী ইহুদি, আবার কেউ কেউ আছেন যাদের ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই।’ব্রুকলিনের রাব্বি অ্যান্ড্রু কাহন বলেন, মামদানি বারবার ইহুদি-বিরোধিতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং এডিএল-এর মতো সংগঠনগুলোর সমালোচনা করেছেন।’তিনি বলেন, ‘চলুন, আমরা তাকে একটি সুযোগ দিই। যেন তিনি প্রমাণ করতে পারেন, ইহুদি-বিরোধিতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার প্রতিশ্রুতি সত্যিকারের। তার সঙ্গে কাজ করে এমন এক আন্তঃসম্প্রদায়িক সংহতি গড়ে তুলি, যা সব নিউইয়র্কবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’